জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস এম নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান রেজাকুল হায়দার।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জেনিথ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান এটিএম এনায়েত উল্লাহ, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল জলীল এবং নিরপেক্ষ পরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলী বক্তব্য রাখেন।
রেজাকুল হায়দার বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে লেগে থেকে পরিশ্রম করুন, সফল হবেন। আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন আমার একটা স্যুট কেনার সক্ষমতা ছিল না। আমার বয়স যখন ৩০ এবং ব্যবসার বয়স ৫/৬ বছর তখন আমি একটা স্যুট বানাতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন,ব্যবসা বাড়াতে আমার প্রথম জীবনে কেনা পছন্দের টিভিটি বিক্রি করেছিলাম। তখন আমার মা বলেছিলেন, এটা বিক্রি না করলে হয় না! আমি মা কে বলেছিলাম, ব্যবসা যখন সফল হবে তখন এর চেয়ে আরো ভালো অনেক টিভি কিনতে পারব। আল্লাহ এখন আমাকে অনেক দূর নিয়ে এসেছেন।
উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান এটিএম এনায়েত উল্লাহ বলেন, শুধু প্রথম বর্ষ ব্যবসা বৃদ্ধি করে লাভ নেই। টিকে থাকতে হলে নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাড়াতে হবে। প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহে বেশি কমিশন পাওয়া যায় বলে নবায়ন সংগ্রহে গুরুত্ব কমানো যাবে না। প্রথম বর্ষ ও নবায়ন উভয় ধরনের প্রিমিয়াম বাড়াতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদেরকে আইপিওতে যেতে চাপ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভালো ব্যবসা করতে না পারলে আইপিওতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই ভালো ব্যবসা করতে হবে। আমাদের যার যার লক্ষ্যমাত্রা পরিপূর্ণ করতে হবে। ভালো ব্যবসা দিয়েই আমাদেরকে আইপিওতে যেতে হবে।
জেনিথ ইসলামী লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান জানান, ২০২০ সালে জেনিথ লাইফ ৫০২টি এসবি দাবি বাবদ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ টাকা পরিশোধ করেছে এবং ২১টি মৃত্যুদাবি বাবদ ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৯ টাকা পরিশোধ করেছে। এ ছাড়াও ৭টি স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ ১ লাখ ৪ হাজার ১৮১ টাকা এবং ১৭টি সমর্পণমূল্য বাবদ ২ লাখ ২২ হাজার ৩৩৩ টাকাসহ সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩৭ হাজার ৪ টাকা পরিশোধ করেছে।