প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরে পৌঁছায় নৌবাহিনীর জাহাজ। ৪ ডিসেম্বর ৩৬৮ জন পুরুষ, ৪৬৪ জন নারী ও ৮১০ জন শিশুকে নিয়ে জাহাজটি ভাসানচরে পৌঁছায়। ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া থেকে বাসে করে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের জেটিতে নেয়া হয়। খান থেকে শুক্রবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় রোহিঙ্গারা।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের চরটি ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যেখানে এক লাখের বেশি মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি গুচ্ছগ্রামে রয়েছে ১২টি হাউজ এবং চারতলাবিশিষ্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। পাকা দেয়ালের ওপর টিনের শেডের প্রতিটি হাউজে রয়েছে ১৬টি করে কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে চারজনের একটি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই আরও এক হাজার রোহিঙ্গাকে নেয়া হবে ভাসানচরে।