তেমনই একটি পদ্ধতি হলো হানি প্যাচ। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক। বুকে জমে থাকা কফ সহজে বের করে আনতে সাহায্য করে মধু। বুকের ত্বকের মাধ্যমে মধু শোষিত হয়ে সরাসরি জমে থাকা কফের উপর প্রভাব ফেলে।
হানি প্যাচ তৈরিতে যা লাগবে: খাঁটি মধু, ভেজিটেবিল অয়েল, ময়দা, গজ কাপড়, টেপ।
যেভাবে তৈরি করবেন: এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ ময়দা এক সঙ্গে ঘন করে মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মেশান।
গজ কাপড় চৌকো করে কেটে নিন। এই কাপড়ের মাঝখানে মধু, ময়দা, তেলের মিশ্রণ রাখুন। চামচ দিয়ে সমান ভাবে কাপড়ের উপর ছড়িয়ে নিন। ধারে যেন না লাগে। বুকের যে দিকে কফ জমেছে সে দিয়ে এই কাপড়ের টুকরো টেপ দিয়ে লাগিয়ে নিন। বেশি ভালো ফল পেতে বুকের উল্টো দিকেও লাগিয়ে নিন।
শিশুদের ক্ষেত্রে দু’-তিন ঘণ্টা রেখে গজ সরিয়ে ফেলুন। বড়দের ক্ষেত্রে সারা রাত রাখতে পারেন। অনেক সময় এক বার হানি প্যাচ লাগালেই কাশির সম্পূর্ণ উপশম হতে পারে। না হলে আরও দু’-এক দিন রাতে হানি প্যাচ লাগাতে পারেন।
সাবধানতা:
১. ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে হানি প্যাচ ব্যবহার করবেন না।
২. ত্বকে কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া থাকলে হানি প্যাচ লাগাবেন না।
৩. মধুতে অ্যালার্জি থাকলে হানি প্যাচ থেকে দূরে থাকুন।
৪. জ্বর থাকলে ব্যবহার করবেন না।