এর আগে রাতের আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে হেতাফেকে ১-০ গোলে হারায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল আতলেতিকো। ২০ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের একমাত্র গোলেই কোচ দিয়েগো সিমিওনের ৫০০তম ম্যাচটি জিতেছে আতলেতিকো।
১৪ ম্যাচে একাদশ জয় পাওয়া আতলেতিকোর পয়েন্ট ৩৫। ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট রিয়ালের। এই রাউন্ডে এইবারের সঙ্গে ড্র করা বার্সেলোনা ১৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। সমান ২৬ পয়েন্ট করে পেলেও গোল পার্থক্যে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে সোসিয়েদাদ, সেভিয়া ও ভিয়ারিয়াল।
লুকা মদরিচের হেডে ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। এগিয়ে থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলচেকে চাপে রাখতে পারেনি দলটি। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এলচের ফিদেল চাভেজ গোল করে সমতা আনেন।
ম্যাচ শেষে হতাশ রিয়াল কোচ জিদান বললেন, এভাবে পয়েন্ট হারানো ঠিক হয়নি, ‘মেজাজ ভালো নেই, কারণ আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু কাজে লাগিয়ে ম্যাচটাকে হাতের মুঠোয় নিতে পারেনি। ওরা গোল করার পরই খোলসে বন্দী হয়ে যায়। তাতে আমাদের কাজ কঠিন হয়ে যায়।’
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এর আগে টানা ছয় ম্যাচ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। টানা জয়ের আত্মতৃপ্তিই এলচের বিপক্ষে ম্যাচে ভর করেছে কি না—এমন প্রশ্ন অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন জিদান, ‘আমার মনে হয় না অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে আমরা ভুগেছি। কারণ, আমরা তো জানতামই কী করলে কী হবে। আসল কথা হলো দ্বিতীয় গোলটা করতে হতো, কিন্তু আমরা সেটি পারিনি। তারা সমতা ফেরানোর পর কাজটা কঠিন হয়ে যায়; যদিও আমরা এরপরও সুযোগ পেয়েছিলাম। আমরা আজ ২ পয়েন্ট খুইয়েছি। এখন এটাকে ভুলেই আমাদের পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।’
পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে রিয়াল আতিথেয়তা দেবে ফর্মে থাকা সেল্তা ভিগোকে। ২১ নভেম্বরের পর থেকে খেলা টানা সাত ম্যাচ ম্যাচে অপরাজিত সেলতা জিতেছে ছয়টিতেই।
অন্য ম্যাচে আতলেতিকো খেলতে নেমেছিল দগদগে দুটি ক্ষত নিয়েই। বাজি ধরার নিয়ম ভাঙায় ১০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ হয়েছেন দলটি ইংলিশ ডিফেন্ডার কিয়েরান ট্রিপিয়ের। আর পারিবারিক কারণে ফরোয়ার্ড দিয়েগো কস্তাও চুক্তি বাতিল করেছেন। নিয়মিত দুই খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি অবশ্য বুঝতে দেয়নি আতলেতিকো। খুব ভালো না খেললেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই ছিল সিমিওনেদের। তাতে ২০২০ সালটা ঘরের মাঠে অপরাজিত থেকেই শেষ করতে পেরেছে দলটি।