ক্যামিনান্দো ফ্রন্তেরাস নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসীদের বেশির ভাগই ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ স্পেনের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলবর্তী অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানোর কারণে ইউরোপে যাওয়ার বিকল্প পথ হিসেবে এ বছর দ্বীপপুঞ্জে অভিবাসীদের চাপ বেড়েছে। চলতি বছর নৌকা করে স্পেনে যাওয়ার পথে মোট ২ হাজার ১৭০ জন অভিবাসী মারা গেছে। ২০১৯ সালে মারা গিয়েছিল ৮৯৩ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের পথে ৪৫টি জাহাজ ডুবে ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৮৫১ জনের মৃত্যু হয়। দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে নিকটতম পথটিও মরক্কোর উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। তবে আটলান্টিকের তীব্র স্রোতের কারণে এ পথটি ভয়াবহতার কুখ্যাতি রয়েছে।
হেলেনা ম্যালেনো নামে ক্যামিনান্দো ফ্রন্তেরাসের এক কর্মী জানান, চলতি বছর অভিবাসীদের মৃত্যু বাড়ার পেছনে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ হয়ে যেতে অধিক পথ পাড়ি দেয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করার ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া স্পেন, মৌরিতানিয়া, সেনেগাল ও মরক্কোর উদ্ধারকারী দলের সমন্বয়হীনতা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। এ সমন্বয়হীনতার কারণে উদ্ধারাভিযান শুরুতে বিলম্ব ঘটে।