প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব আরও প্রশংসিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘‘দিবসটির এই বছরের প্রতিপাদ্য, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে।’’
জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সবসময়ই দেশের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা চালুসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধিক্ষেত্র, বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শিশু (সংশোধন) আইন ২০১৮, মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮, প্রণয়ন করা হয়েছে।’
সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ধরনের অনুদান দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী ও গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষ অনুদান দেওয়াসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়, নদীভাঙনে সর্বস্বান্ত পরিবার, বস্তিবাসী, চা-বাগান শ্রমিক ও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই অনগ্রসর মানুষের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।