ক্যানবেরায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এমন এক ভূখণ্ডে বসবাস করছি যেখানে প্রাচীন প্রথম জাতিসত্তার মানুষ অনন্তকাল ধরে আছে। একসঙ্গে তিনশ’রও বেশি জাতি ও ভাষার গল্প আমরা আঁকছি। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতেও এর প্রতিফলন থাকা উচিত। যে পরিবর্তন আমরা এনেছি এবং আজ ঘোষণা করেছি, আশা করি তা সেই লক্ষ্য অর্জন করেছে।’
অস্ট্রেলিয়া সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিটমাট করতে কয়েক যুগ ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫০ হাজারের বেশি বছর আগে থেকে এই আদিবাসীরা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে।
১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি সিডনি বন্দরে প্রথম ব্রিটিশ জাহাজ ভেড়ানোর দিনটি অস্ট্রেলিয়া প্রতিবছর উদযাপন করে। জাহাজটিতে মূলত অপরাধী ও সেনাসদস্যরা ছিলেন। আদিবাসীরা এই অস্ট্রেলিয়া দিবসকে ‘দখল দিবস’ বলে আখ্যায়িত করে থাকে।
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের পর থেকে আদিবাসী ক্ষমতায়নে বিশেষ জোর দিচ্ছে দেশটির সরকার। নিউ সাউস ওয়েলস প্রদেশের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান গত বছর প্রথম জাতীয় সংগীতের শব্দে পরিবর্তন আনার বিষয়টি তোলেন। বর্তমান শব্দে অস্ট্রেলিয়ার ‘গর্বিত প্রথম জাতিদের সংস্কৃতিকে’ উপেক্ষা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আদিবাসী অস্ট্রেলীয় বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী কেন ওয়াট ও দক্ষিণপন্থী দল ওয়ান ন্যাশন পার্টির নেতা পলিন হ্যানসনসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
নতুন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার প্রথম ব্যক্তি তিনিই হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, ‘আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী গাইলে সেটা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা জনসাধারণের মতো গাওয়ারই সমান। এটা একান্তে গাইলেই সবচেয়ে ভালো হয়।’ সূত্র রয়টার্স।