বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার দর ছিল ২৮২ টাকা। যে শেয়ারটি ৩০ ডিসেম্বর বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৪২৭ টাকায়। অর্থাৎ ২০ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৪৫ টাকা বা ৫১ শতাংশ। এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারন অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
এছাড়া এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কোন অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই বলে জেএমআই সিরিঞ্জ কর্তৃপক্ষ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে। যা গত ২৭ ডিসেম্বর ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিএসইসি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণ তদন্ত করবে। বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক উম্মে সালমা এবং সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাত। গঠিত কমিটিকে এ আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো ইনসাইডার ট্রেডিং হয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ১৭ক ধারার ক্ষমতাবলে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
২০১৩ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হওয়া জেএমআই সিরিঞ্জের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩৫ টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।