আজ শনিবার (২ জানুয়ারি) ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আয়েশা খানম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল রাতে তিনি ঢাকার নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বিআরবি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আয়েশা খানমের মরদেহ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকবে, সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে নেত্রকোনায় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
আয়েশা খানম ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর নেত্রকোনার গাবড়াগাতিতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা গোলাম আলী খান ও মা জামাতুন্নেসা খানম। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক আয়েশার। ১৯৬৬ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনে পুরোপুরি সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ফলে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতাযুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সবগুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন।
মৃতের মরদেহ সকাল সাড়ে আটটায় সেগুন বাগিচাস্থ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনা হবে। এরপর নেত্রকোণায় নিজ গ্রামে দাফন করা হবে।