এর আগে রাজধানীর আজিমপুর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাদিয়া আনহু তানহা আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির কার্যক্রম শুরু করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বক্তব্যে দেন।
এবার দেশের ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারী শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। এসব স্কুলে মোট আসন আছে ৭৭ হাজার ১৪০টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের জন্য গড়ে ৭ শিক্ষার্থী লড়েছে।
লটারি শেষ হওয়ার পরে প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিভাবকরা টেলিটকের ওয়েবসাইট (https://gsa.teletalk.com.bd/) থেকে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ফল ডাউনলোড করে জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে ইমেইল করবেন। একইসাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে। আর যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভর্তি লটারির বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এবারও স্কুলগুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। ভর্তি আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পেরেছে।
বিভাগভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা
ঢাকা বিভাগে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১০টি, বরিশালে ১৬ হাজার ২৮৭টি, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৮টি, রাজশাহীতে ৭০ হাজার ৮১২, খুলনায় ৪৩ হাজার ৫০৬টি, রংপুরে ৬৯ হাজার ৫২৩টি, সিলেটে ২৪ হাজার ৫৭৩ এবং ময়মনসিংহে ৪৯ হাজার ৬০টি আবেদন রয়েছে।
শ্রেণিভিত্তিক আবেদন
প্রথম শ্রেণিতে ৪২ হাজার ৩৭২টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২ হাজার ৬৮৫টি, তৃতীয় শ্রেণিতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৪টি, চতুর্থ শ্রেণিতে ২২ হাজার ৯৬৮টি, পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৬ হাজার ৭৩৪টি, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬টি, ৭ম শ্রেণিতে ১১ হাজার ৫৩১টি, ৮ম শ্রেণিতে ২১ হাজার ৩৯৩টি এবং ৯ম শ্রেণিতে ৩৫ হাজার ৫৩৬টি আবেদন রয়েছে।