এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান, জেমস্ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমি জাপানি বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিচ্ছি আমরা আপনাদের দীর্ঘ মেয়াদে জমি দেবো। আমরা আশা করি, এখানে প্রতিবছর ন্যূনতম ৫ শতাধিক ফ্ল্যাট বিক্রি হবে। আমাদের সরকারও ব্যবসাবান্ধব। আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা ভীষণ খুশি। প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য ২০ বছর মেয়াদে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আবাসন খাতে বসুন্ধরা সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প। এখানে কোনো অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা নেই। কোন সমস্যা হলেও আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা এ ব্যপারে সর্বদা সতর্ক থাকেন। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর পরিবেশ এখানে। আমাদের ব্যবস্থাপনাকে এমনভাবেই ঢেলে সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমি জাপানের রাষ্ট্রদুতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখানে জাইকার মাধ্যমে ২ থেকে ৩ শতাংশ হার সুদে বিনিয়োগ করলেও, আপনাদের জন্য তা লাভজনক হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদুত নাওকি ইতো বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত অর্থনৈতিক বড় অংশীদার। আমার জানামতে, বাংলাদেশে ‘জাপান স্ট্রিট’ নামে কোন সড়ক নেই। এই সড়কের নামকরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ নেপথ্যে যারা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এটা জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইল ফলক।
তিনি আরও বলেন, এই বছর মুজিব বর্ষ। আগামী বছর বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী। আর এর পরের বছর অথাৎ ২০২২ সাল হবে জাপান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর। আমাদের আশা, এই সময় থেকে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সম্ভাবানময় নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল উল্লেখ করে নাওকি ইতো বলেন, জাইকা বাংলাদেশে আবাসন খাতসহ সম্ভাব্য সবখাতে বিনিয়োগ করবে। জাইকা বাংলাদেশে বেশকিছু বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। মেট্রোরেল, আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল. মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।