সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য চলতি মাসের ১০ তারিখে আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এই সার্কুলারে তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ১ মার্চ ২০২০ থেকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ব্যবসা আহরণের জন্য সব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে কমিশনের ভিত্তিতে বীমা এজেন্ট হিসেবে পদায়ন করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, ‘বীমা আইন, ২০১০ এর ৫৮(১) ধারা অনুযায়ী নন-লাইফ বীমা কোম্পানির বীমা এজেন্ট ছাড়া অন্য কারো কমিশন বা অন্য কোনো নামে পারিশ্রমিক বা পারিতোষিক পরিশোধ না করার জন্য যে আইনে রয়েছে, তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে নন লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর বেতন-ভাতা খাতে বার্ষিক ভিত্তিতে নিট প্রিমিয়ামের ওপর ১০ ভাগের বেশি অর্থ ব্যয় করা যাবে না বলে সার্কুলারে সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
এই সার্কুলার জারির বিষয়ে আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, শুধু বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্সধারী এজেন্টকে ৫ ভাগ অগ্রিম কর কর্তন করে ১৪.২৫ শতাংশ কমিশন পরিশোধ নিশ্চিত করার স্বার্থে এই সার্কুলার জারি করা হলো।
সূত্র জানায়, সার্কুলার জারির পর থেকে বীমা কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে আপত্তি জানানো শুরু করে। বিশেষ করে নন-লাইফ বীমা কোম্পানির উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এর ফলে তাদেরকে রাতারাতি বীমা এজেন্ট পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। এর ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে।
সূত্র জানায়, বীমা কোম্পানিরগুলোর চাপে মুখে আইডিআরএ সার্কুলারটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করার কথা জানায় রোববার।
আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, উন্নয়ন কর্মকর্তাগণকে এজেন্ট হিসেবে রূপান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার স্বার্থে এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত সার্কুলারটির কার্যকারিতা মে ২০২০ পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।