‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আমরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি’

‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আমরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আমরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি। বন্ধু সুলভ আলোচনা করছি। তবে তারা (মিয়ানমার) অন্যায় করছে, সেটা আমরা বলবো।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে আপনাদের জীবনের একটি বিশেষ দিন। এ দিনটির জন্য দীর্ঘ ১১ মাস আপনাদের কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় করতে হয়েছে। আপনারা সমর জ্ঞান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। আমার বিশ্বাস এ প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন ও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সামরিক বাহিনীর কমান্ড ও স্টাফ কলেজের ডিএসসিএসসি ২০২০-২০২১ কোর্সের স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ কোর্সে এবার ২২৫ জন অংশ নেন, যার মধ্যে ৪৩ জন বিদেশি কর্মকর্তা।

শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটগণ তাদের অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে দেশকে একটি স্থিতিশীল, টেকসই, আত্মনির্ভরশীল, সর্বোপরি গৌরবময় অবস্থানে নিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, এদেশ লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করেছি। আমরা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক গ্রামে শহরের সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা দেখতে চাই ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে। সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান করেছি। যাতে আমাদের এই ব-দ্বীপ জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। চিরদিন হয়ত আমরা থাকবো না। তারপরও পরিকল্পনা টা করে দিয়ে যাচ্ছি। যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম উন্নত জীবন পায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সে আলোকে আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। কেউ বলতে পারবে না, বাংলাদেশের সঙ্গে কারও বৈরি সম্পর্ক আছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশ গৌরবময় ভূমিকা পালন করছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদসহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা নানা সময়ে মানবিক ডাকে সাড়া দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের বিষয়টি আপনারা জানেন, এ নিয়ে সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নারী শিক্ষাসহ সবার শিক্ষা নিশ্চিত করেছি। নারীর ক্ষমতায়নে কার্যকর ভূমিকা রেখেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। যার কারণে ভিডিও কনফারেন্সে আমি আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। সারাদেশে বিদ্যুৎ-সোলার দিয়েছি। আমাদের বাজেট আমাদের নিজেদের অর্থেই বাস্তবায়ন করতে পারি। পরনির্ভরশীল হতে হয় না। আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছি, সফলও হচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস আমরা মোকাবিলা করছি। ভ্যাকসিন এসে গেছে। দেয়ার কার্যক্রমও চলছে। আমরা চাই, সবাই সুস্থ ও সুখী জীবন পাক।

সেনাবাহিনীর ধর্মীয় শিক্ষক আবদুল মান্নানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন সামরিক বাহিনীর কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. জুবায়ের সালেহীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ সামরিক বাহিনীর কমান্ড ও স্টাফ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু