২ বলে দরকার ৫, ম্যাচে তখন উত্তেজনা চরমে। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা কি পারবেন মারাঠা অ্যারিবিয়ান্সকে জেতাতে? পাল্লা তো ঝুঁকে গিয়েছিল বোলিং দল নর্দার্ন ওয়ারিয়র্সের দিকেই।
কিন্তু এমন শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে মাথাটা ঠান্ডা রাখলেন মারাঠা অধিনায়ক মোসাদ্দেক। পঞ্চম বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন টাইগার ব্যাটসম্যান।
১ বলে দরকার ১ রান, শেষ বলে এক্সটা কাভার দিয়ে আরেকটি চার মোসাদ্দেকের। মাঠে তখন জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা দুই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, ডাগআউটে উল্লসিত মারাঠা শিবির।
আবুধাবিতে টি-টেন লিগের উদ্বোধনী ম্যাচই দারুণ রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখল। যে লড়াইয়ে মোসাদ্দেকের দল মারাঠা অ্যারিবিয়ান্স শেষ বলে জিতেছে ৫ উইকেটে।
লক্ষ্য ছিল ১২৮ রানের। আবদুল শাকুর বাঙ্গাসের টর্নেডো ইনিংসে সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছিল মারাঠা। ৬.৩ ওভারে ১ উইকেটে তারা তুলে ফেলে ১০১ রান। ওপেনিংয়ে জাভেদ আহমেদি (৬) আর ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান লরি ইভান্স (৯) ভালো করতে না পারলেও বাঙ্গাস একাই দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন হয় মারাঠার। ১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এর মধ্যে ছিলেন বিধ্বংসী ইনিংস খেলা বাঙ্গাসও। ২৮ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আরব আমিরাতের এই ব্যাটসম্যান।
ফলে চাপে পড়ে যায় মারাঠা। দলকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে পড়ে দুই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক আর মুক্তারের। ওয়েন পারনেলের করা নাটকীয় এক শেষ ওভারে প্রথম চার বলে তারা ৪ রানের বেশি নিতে না পারলে হতাশা ভর করে মারাঠা শিবিরে। সেখান থেকে মোসাদ্দেকের ব্যাটে দুর্দান্ত এক জয়।
এর আগে লেন্ডল সিমন্সের ৩১ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে ২ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছিল নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স। ব্রেন্ডন কিং ১৩ বলে ২৯ আর রভম্যান পাওয়েল ৭ বলে খেলেন ২২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
বোলিংয়ের সময় দলকে ভরসা দিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুক্তার আলি। মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের হয়ে সেরা বোলিং ফিগারটি ছিল তারই। ২ ওভারে ১৯ রান খরচায় নেন একটি উইকেট। নর্দার্নের বাকি উইকেটটিও যায় তারই ওভারে, রানআউটে।