বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও কানাডার পাঁচ শীর্ষ কূটনীতিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে এ কথা বলেন। একই সঙ্গে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জোরদার করতে বাংলাদেশকে ভারত ও চীনের সহযোগিতা নেওয়ার কথাও বলেন। যুক্তি হিসেবে তাঁরা বলেন, সবাই মিলে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে বিষয়টি সহজ হবে।
তবে উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে কূটনীতিকেরা কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কিছু শঙ্কা প্রকাশ করেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বাধ্য করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
এই পাঁচ শীর্ষ কূটনীতিক হলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান রেনসজে তিরিংক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ও কানাডার হাইকমিশনার বেনোইত প্রিফন্টেইন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৭ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কমিটির প্রধান হিসেবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এই পাঁচ কূটনীতিক।