রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ তথ্য জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে ব্যবসায় বিনিয়োগ এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটটসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে নানা ইস্যুতে কথা হয়।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আগ্রহের কথা জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনই এই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান। তুরস্ক রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় রোহিঙ্গাদের দেখতে তুর্কি ফাস্ট লেডির কক্সবাজারের ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
লেবাননের বৈরুত বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশে নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামত করে দেয়ার জন্য তুর্কি সরকারকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম সাবেক তুর্কি প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের নামে রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুস্তফা ওসমান তুরান।