সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির কার্যালয়ে সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তারা (সিএফও) অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে উত্থান ও পতনের সময় কি ভূমিকা পালন করা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ি বিনিয়োগ, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য অংশগ্রহণ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সুপারিশ ও সমস্যা শুনেন। এসময় কিছু সমাধানের তাৎক্ষনিক দিকনির্দেশনাও দেন এবং দীর্ঘমেয়াদি বিষয়গুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে শীর্ষস্থানীয় ২২ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে বাজারে উত্থান ও পতনের সময় তাদের ভূমিকা কি হওয়া উচিত, তা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে করে তারা সাধারন বিনিয়োগকারীদের মতো অল্পতেই আতঙ্কিত না হয়ে যায়।
একইসঙ্গে গ্রাহকদেরকে আতঙ্ক ও মিথ্যা তথ্যের বিষয় সজাগ রাখার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়ার বিষয়েও আজ আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান এই কমিশনার।
তিনি বলেন, সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ি বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যাদের এখনো বিনিয়োগ সীমার কম বিনিয়োগ করা আছে, তাদেরকে আরও করার জন্য বলা হয়েছে। তবে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা অনুযায়ি বিনিয়োগ সীমার স্লাব করতে বলেছেন। যাতে করে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে পারে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন।
বাজারের উন্নয়নে কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বলে সভায় উল্লেখ করেন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।