মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টের মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সমবায় ব্যাংকের গ্রাহকদের জমাকৃত স্বর্ণের কোন হদিস নেই। ব্যাংকের নথিতে টাকায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ৪০ লাখ। বাফুফে সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহি সহ ব্যাংকটির ৯ র্কমর্কতা যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এর মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
টানা দ্বিতীয় বারের মত বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মহি। কিন্তু ফুটবল নিয়ে তার কর্মকাণ্ড বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। ফেডারেশেনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে থাকলেও, আদতে ফুটবল এগিয়ে নেয়ার মত কোনো কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়নি তার থেকে।
উল্টো বাফুফের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি ব্রার্দাস ইউনিয়ন পরিচালনা পর্ষদে থাকলেও, ক্লাব নিয়ে রয়েছে তার চরম উদাসীনতা।
এদিকে মামলা দায়ের হলেও এখনো মহিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মামলায় মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি ছাড়াও বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লি: এর প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর, সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক, (স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ বিভাগ) মো: আশফাকুজ্জামান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো: মাহাবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো: ওমর ফারুক, সিনিয়ার অফিসার (ক্যাশ) নুর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার, গ্রেড-১ আব্দুর রহিম, সহকারী অফিসার, গ্রেড-১ নাহিদা আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।