গুলশানের নিকেতনে মো. রনি (১৭) নামে এক নিরাপত্তাকর্মী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে পুরান ঢাকার লালবাগের মিনা বাজার ঘোড়া শহীদ মাজার এলাকার একটি বাসায় শামীম নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দুটি স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুইজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেনে।
রনি বাগেরহাট মোড়োলগঞ্জ উপজেলার মো. মুক্তার হোসেনের ছেলে। গুলশান নিকেতনের ছয় নম্বর রোডের ২৬ নম্বর বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
নিহত রনির ভাই আরিফ বলেন, রনি গত দুই বছর ধরে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। এর আগে অন্য কোম্পানিতে থাকলেও ১২ দিন হলো ল্যান্সার কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। আমার ভাইকে বাথরুমের ভেতর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা।
এদিকে, রনির সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা কর্মী ইমন বলেন, ডিউটি শেষ করে আমি আর রনি এক সঙ্গেই ঘুমাই। প্রতিদিনের মত আজও ঘুমাতে আসি। রাত ১১ টার দিকে রনি টয়লেটে যায়। যাওয়ার আগে আমাকে বিছানা ঝাড়তে বলে যায়। অনেকক্ষণ সময় কেটে গেলেও রনি টয়লেট থেকে বের হয় না। এতে আমি তাকে ডাকতে টয়লেটে দরজায় নক করতে থাকি। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে টয়লেটের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রনি ঝুলছে। পরে শাবল দিয়ে টয়লেটের দরজা ভেঙে রনিতে উদ্ধার করি। এরপর পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তারা এসে রনিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলে নিয়ে আসে। সেখানে রাত ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রাজধানীর পুরন ঢাকার লালবাগের মিনা বাজার ঘোড়া শহীদ মাজার এলাকার একটি বাসায় শামীম নামে এক ব্যক্তি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢামেক হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ তার বন্ধু পিয়াস উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসে বলে জানায় ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।