সম্প্রতি ঢাকায় চীন দূতাবাসে গিয়ে তিনি লিখিতভাবে এই আগ্রহের কথা চীনা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন সাইয়েদা জেরিন।
চীনা দূতাবাস মঙ্গলবার তাদের ফেসবুক পেইজে জেরিন এবং তার চিঠির ছবি প্রকাশ করলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
চিকিৎসক সাইয়েদা জেরিন ইমাম বর্তমানে দেশে অবস্থান করলেও তিনি চীনের জিনান প্রদেশের শ্যানডং বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএচইডি করছেন।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, “সৈয়দা জেরিন ইমাম উহান যাওয়ার ইচ্ছা জানিয়ে দূতাবাসে চিঠি নিয়ে এসেছিলেন। তবে এখন তিনি যেতে পারবেন কি না সে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে আমরা তা জানিয়ে দেব।”
জেরিন তার চিঠিতে স্মরণ করেছেন সেই সব দিনের কথা, যখন চীনে যাওয়ার পর সেখানকার ভাষা আর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে তার রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছিল।
চীনের শিক্ষক, সহকর্মী ও সহপাঠীরা কীভাবে তাকে সেখানে থিতু হতে সহায়তা করেছিলেন, সেই বর্ণনাও জেরিন দিয়েছেন আবেগমাখা ভাষায়।
চীনা বন্ধুদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমি শুধু এটাই বলতে চাই, কোন কারণেই তোমরা একা নও। আমিও রয়েছি তোমাদের পাশে। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ, হয়ত খুব শক্তিশালীও নই। কিন্তু আমার সাহস আছে, আর আছে হৃদয়। তোমাদের বাঁচানোর জন্য এর সবকিছুই আমি দিতে পারি।”
চীনা কর্মকর্তাদের প্রতি এই বাংলাদেশি চিকিৎসকের আর্জি, “আমাকে উহানে যেতে সহায়তা করুন। সেখানে বিপদে থাকা মানুষদের সহায়তা করার সুযোগ করে দিন।”
এর আগে, উহানে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গবেষককে একটি বিশেষ বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় চীন সরকারের বিশেষ অনুমতি ছাড়া সেখানে যাওয়া জেরিনের পক্ষে সম্ভব নয়।
ডেন্টালে ডিগ্রি নেওয়ার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্যে স্নাতোকোত্তর করা ডা. সাইয়েদা জেরিন ইমাম বেশ কয়েক বছর ধরে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা করছেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেমেও কাজ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে শ্যানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডা. জেরিন।