এই জয়ে সিরি-আ’র পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের সঙ্গে ৩ পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে এনেছে তারা। তবে শীর্ষে থাকা ইন্টারমিলান রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সমান ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট তার। এসি মিলানের সঙ্গে ৪ এবং জুভেন্টাসের সঙ্গে ৭ পয়েন্টের ব্যবধান তাদের। এসি মিলানের পয়েন্ট হলো ২৪ ম্যাচে ৫২ এবং জুভেন্টাসের ৪৯।
স্পেজিয়ার বিপক্ষে রোনালদো করলেন জুভেন্টাসের তৃতীয় গোল। সে সঙ্গে ইউরোপের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আরো একটি দুর্দান্ত রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি। এই গোল দিয়ে এবারের মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি-আতে তার গোল সংখ্যা দাঁড়ালো ২০টি এবং তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি গত ১২টি মৌসুমের প্রতিটিতে ইউরোপের সর্বোচ্চ লিগগুলোতে খেলে ২০ কিংবা তার বেশি গোল করেছেন।
সে সঙ্গে ক্যারিয়ারে ৬০০তম ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেছেন ১০৫২টি। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৮৮২ ম্যাচ এবং পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৭০ ম্যাচ। সব মিলিয়ে গোল করেছেন ৭৬৭টি। এর মধ্যে ক্লাবের হয়ে করেছেন ৬৬৫টি এবং জাতীয় দলের হয়ে গোল করেছেন ১০২টি।
স্পেজিয়ার বিপক্ষে মোটামুটি অগ্নি পরীক্ষা ছিল জুভেন্টাসের। নিজেদেরকে শিরোপা রেসে টিকিয়ে রাখা এবং টানা ১০ লিগ শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথমার্ধে কোনো গোলই করতে পারেনি জুভেন্টাস। প্রথমার্ধে যদিও রোনালদোর একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে তিন গোল করে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেয় জুভরা। ৬২ মিনিটে গোল করে প্রথম জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন আলভারো মোরাতা। ৭১ মিনিটে গোল করেন ফেদেরিকো চিয়েসা এবং ৮৯ মিনিটে গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ম্যাচের পর মোরাতা বলেন, ‘যদি মৌসুম শেষে আমরা শিরোপা জিততে না পারি তাহলে বিজয়ী দলকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাবো। কিন্তু তার আগে তো আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে। মাঠে প্রাণপন লড়াই করতে হবে। এ কারণেই আমরা চেষ্টা করেছি পূর্ণ পয়েন্ট তুলে আনতে।’