দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারের চিত্র পাল্টে যাবে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারের চিত্র পাল্টে যাবে : বিএসইসি চেয়ারম্যান
দেশের পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী-রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এখন এর স্বাস্থ্য ফেরানোর চেষ্টা চলছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগে আগামী দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে চিত্র পাল্টে যাবে। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার তার স্বরূপ ফিরে পাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

শনিবার (১৩ মার্চ) ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ডায়ালগ অন বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পুঁজিবাজারে ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আর নেই বলে জানিয়ে বিএসইসি'র চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ চাইলেই পুঁজিবাজার নিয়ে খেলতে পারবে না। গ্রুপ করে হয়তো বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব, তবে সেটা করতে গেলেও ধরা পড়ে যাবে। এরপরও যদি সবাই একদিনে সব শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়, এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু বাজারকে কেউ যদি ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তার অসুবিধা আছে। সরকার বদ্ধপরিকর, কেউ এখানে অসুবিধা সৃষ্টি করলে সরকার সহ্য করবে না।

বিএসইসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কোথাও ইনসাইডার ট্রেডিং হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সফটওয়্যারে ধরা পড়ে। আমরা সংশ্লিষ্টদের ডেকে আনি। তাদের বিও হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হয়, জরিমানার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। সবকিছুই এমনভাবে করি, যাতে প্যানিক সৃষ্টি না হয়।

তিনি বলেন, ‘সামনে অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। এই রিজার্ভের অর্থের যোগান যারা দেন, তাদের টাকা কিন্তু পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এই রিজার্ভ ধরে রাখলে দায় বাড়বে। তাই রিজার্ভের অর্থ দ্রুত বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরও বলেন, আমরা দেখে, বুঝে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি জানান, একেক ব্যাংকের অবস্থা একেক রকম। সুতরাং আমরা মনেকরি ব্যাংকের লভ্যাংশের বিষয় বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না। এখানে অনেক ব্যারিয়ার আছে। এটা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবো। তবে এখানে শেয়ারহোল্ডার ও এজিএম-এর একটা বড় ভূমিকা আছে, সেটাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত হবে না।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট সমস্যা অথবা মালিকের অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে কোম্পানি ধ্বংস হয়। এজন্য আমরা প্রথমে পর্ষদ পুনর্গঠন করে কোম্পানি ঠিক করার উদ্যোগ নিচ্ছি। তাতে কাজ না হলে এক্সিটের (পুঁজিবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়া) ব্যবস্থা আছে। এ ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ কোম্পানির যথেষ্ট সম্পদ আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচ থেকে ছয়টা কোম্পানি আছে, যাদের বার্ষিক টার্নওভার ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব প্রতিষ্ঠান যাতে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য আমরা বন্ডের ওপর জোর দিচ্ছি। সামনে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হলে বন্ডের বিকল্প নেই।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত