আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬ শতাংশ কমেছে।
একই সঙ্গে কমেছে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আজ ডিএসইতে ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আজ ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স ২৭৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯২৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ৩৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির।
জানুয়ারিতে বড় ধসের পর পুঁজিবাজার জাগাতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও বাড়ে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছিল।
কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও বাজারের এই দরপতনে উদ্বিগ্ন বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বুঝে উঠতে পারছেন না, জানুয়ারিতে বড় ধসের পর এক মাস যেতে না যেতেই কেন ফের বড় পতন হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, কিছুই বুঝতে পারছি না ভাই; এত কিছুর পর কেন পতন হচ্ছে বাজারে? কী বলব, আমার কোনো মন্তব্য নেই।
ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা হতাশ। জানি না কী হচ্ছে।
বড় ধসের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাজারের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও বড় পতন হচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার না।
আকবর নামের একজন বিনিয়োগকারী বলেন, কিছুদিন আগে পতন থামতে শুরু করছিল তখন ভেবেছিলাম হয়তো শেয়ারবাজার এবার সঠিক গতিতে চলবে। কিন্তু না। এবারও আমরা আশাহত হলাম। শেয়ারবাজারের কারসাজির সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে না পারলে বাজারের অবস্থা ভালো হবে না। আর বিএসইসি নজর রাখতে হবে বাজারে ভালো কোম্পানি আনার জন্য।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, লেনদেনের শুরুতেই বড় দর পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। কারণ গতকাল বাংলাদেশে তিন জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।