সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ ট্রেক আবেদনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় দেশের প্রথম, প্রধান ও নেতৃত্বদানকারী স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ, স্কীম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালার বিধানাবলী মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে উহার অধীনে সিকিউরিটিজ লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে সিকিউরিটিজ লেনদেন অধিকার সম্বলিত সনদ ট্রেক ইস্যু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে৷
ট্রেক রুলস অনুযায়ি, প্রতিটি ট্রেকের জন্য নিবন্ধন ফি দিতে হবে ১ কোটি টাকা। তবে ডিএসই শুরু থেকেই ট্রেক মূল্য আরও বেশি বলে বিএসইসির নির্ধারিত ফি নিয়ে বিরোধীতা করে। এমনকি ডিএসইর পর্ষদের মধ্যেও এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে ডিএসইর ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের মধ্যে একমাত্র রকিবুর রহমানের সম্মতি থাকলেও শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও মিনহাজ মান্নান ইমন (বর্তমানে সাবেক) বিরোধীতা করেন।
ডিএসইর আপত্তির আলোকে আগের কমিশন ট্রেক বিধিমালা প্রণয়ন সম্পন্ন না করে, পরবর্তী কমিশনের কাছে দিয়ে যায়। এরপরে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন ট্রেক বিধিমালা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর ট্রেক বিধিমালার গেজেট প্রকাশ পায়।
গেজেট অনুযায়ি, কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশনের অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক কিনতে পারবেন। এই ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফিসহ এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে হবে। আর ১ কোটি টাকা দিতে হবে নিবন্ধন ফি হিসেবে। এই ফির পরিমাণ নিয়ে শুরু থেকেই এই বিধিমালার বিরোধীতা করে ডিএসই।
তাদের মতে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে ডিএসইর একটি মেম্বারশীপ বিক্রি করা হয়েছে ৩২ কোটি টাকার উপরে। এমনকি স্ট্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির দর হিসাবে একটি ব্রোকারেজ হাউজের দাম রয়েছে ১৫ কোটিতে। সেখানে এখন অনেক কমে ট্রেক ইস্যু করা হবে। এটা কিভাবে সম্ভব? তাহলে বর্তমান মেম্বারশীপের ভ্যালু কোথায় নেমে আসবে? এছাড়া আইনে ফি নির্ধারন স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির খসড়ার আলোকে মতামত দেওয়ার জন্য গত ৮ জুলাই ডিএসইর পর্ষদ ৫ কোটি টাকা নিবন্ধন ফিতে ট্রেক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া আবেদন ফি ১০ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যা বিএসইসিকে জানানো হয়।