কিন্তু করোনা প্রকোপে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। ম্যাচগুলো স্থগিত করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে সিরিজের আশা শেষ হয়ে যায়নি বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সুযোগ হলে যত দ্রুত সম্ভব সিরিজ আয়োজন করতে চায় বিসিবি।
বুধবার (১৭ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলায় তিনি বলেন, ‘যেহেতু মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত, সেজন্য আমরা একটা আশার আলো দেখছি। হয়তো এটা আবার করা যেতে পারে। সঙ্গে এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে, করোনা পরিস্থিতি কিন্তু খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে এখন। সেটাও আমাদের চোখে রাখতে হচ্ছে যে কোন দিকে যায় না যায়। তবে অবশ্যই ইচ্ছা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টুর্নামেন্টটি করা।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২১ ও ২২ মার্চ ম্যাচ দুটি হওয়ার কথা ছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তার আগে ১৮ মার্চ হওয়ার কথা ছিল এ আর রহমানের কনসার্ট। কিন্তু বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এর দশ দিন পর করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে বাংলাদেশে। যার কারণে সকলের সুরক্ষা বিবেচনায় পিছিয়ে দিতে হয় সবকিছু। এমনকি দেশের সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি দেশে আবার ক্রিকেট কার্যক্রম চালু করেছে বিসিবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল গত মাসে বাংলাদেশ সফর করেছে। এসেছিল আয়ারল্যান্ড উলভস। বাংলাদেশ দলও গিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনও নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন সময় স্বাভাবিকভাবেই তাই সামনে আসে মুজিববর্ষের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটির ভাগ্য নিয়েও। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বিসিবিও উদ্বিগ্ন দুই ম্যাচের আয়োজন নিয়ে।