বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায় তাপদাহ বয়ে যাবে না। রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত একাধিক এলাকায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হলেই আমরা বলে থাকি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যশোরে এ মাত্রা অতিক্রম করেছে। ২০ মার্চের পর থেকে আরও একাধিক এলাকায় তাপমাত্রা বাড়বে। সে হিসেবে শনিবার (২০ মার্চ) থেকে তাপদাহ দেখা দিতে পারে।
এ আবহাওয়াবিদ জানান, আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আংশিক মেঘ দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ এলাকায় আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের চেয়ে বুধবার (১৭ মার্চ) তাপমাত্রা বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় গড় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনে এ মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই পরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সামান্য পরিবর্তন এবং আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সীতাকুণ্ডতে ৩৫ দশমিক ৮, রাঙ্গামাটিতে ৩৫ দশমিক ৫, মংলায় ৩৫ দশমিক ৭সহ একাধিক এলাকায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি।