শনিবার (২০ মার্চ) আহমেদাবাদের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা ভারত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা।
২২৫ রানের লক্ষ্যে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় বল ও দলীয় শূন্য রানেই ভুবেনশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হন জেসন রয়। তবে এরপর পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগান জস বাটলার ও ডেভিড মালান জুটি। এসময় তারা ১০ এর উপরে ইকোনোমিতে ৬২ রান তোলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় এই জুটি ১২.৫ ওভারে ১৩০ রান তোলে। তবে এরপর তিন ওভারের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। বিদায় নেন বাটলার ও মালানও। এরপরই কার্যত শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের দৌড়। ৩৪বলে ২ চার ও চার ছক্কায় ৫২ রান করেন বাটলার। আর মালান ৪৬ বলে নয় টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬৮ রান করেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান শার্দুল ঠাকুর, আর দুই উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড় তোলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি জুটি। এ ম্যাচে ওপেনার হিসেবে নেমে রোহিতের সঙ্গে ৯ ওভারেই ৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক কোহলি। মাত্র ৩৪ বলে ৬৪ রান করা রোহিত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নেন। বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান।
রোহিত বিদায় নিলেও উইকেটে অবিচল থাকেন কোহলি। তিন নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নামা সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে এবার ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ঝড়ো ব্যাটিং করা যাদব ১৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ করে আদিল রশিদের শিকার হন।
ইংলিশ বোলারদের হতাশ করে চতুর্থ উইকেট জুটিতে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে পার্টনারশিপ আবারও বড় করেন কোহলি। এবার ৪০ বলে মারমুখী হয়ে এই জুটি ৮১ রান তুলে অপরাজিত থাকে। ১৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ করেন পান্ডিয়া। আর ৫২ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলনেতা কোহলি। ডানহাতি এই তারকার এটি ২৮তম অন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান আদিল রশিদ ও বেন স্টোকস।
৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া ভুবনেশ্বর কুমার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান। কোহলি হন সিরিজ সেরা।