বৈঠকে অংশ নিতে ইতিমধ্যে সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংকসহ প্রায় ১৫টি ব্যাংকের নির্বাহীরা উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।ডিএসইর চেয়ারম্যান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। বৈঠকে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ৬ দফা নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল সুবিধা ঘোষণা করে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এই তহবিল গঠন করা যাবে। চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে। পুনঅর্থায়নযোগ্য এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর সুদের হার ৫ শতাংশ। তহবিলের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, তা ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাব (Exposure to Capital Market) এর বাইরে থাকবে। বিশেষ তহবিল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক চাইলে সরাসরি নিজে বিনিয়োগ করতে পারবে, আবার ওই তহবিল থেকে ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দেওয়া যাবে।
বিশেষ তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির প্রায় এক মাস হলেও এ বিষয়ে দৃশ্যমান বড় কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭টি ব্যাংক এই তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এদের মধ্যে একটি ব্যাংকের আগে গঠন করা তহবিলের মেয়াদ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা আছে কি-না তা জানা এবং কোন ব্যাংকের কী পরিকল্পনা আছে সে সম্পর্কে করনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।