ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আজ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় ১১ মার্চ। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল। পরে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হলেন—মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।
রায় ঘোষণার আগে আজ কারাগারে থাকা নয়জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত ও তার আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে দুটি মামলার রায় বিচারিক আদালতে আগেই হয়। আজ অপর মামলাটির রায় হলো।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।