পরিবর্তিত এই বিধান কার্যকর হলে লাইফ বীমা কোম্পানির এজেন্ট এবং সকল স্তরের উন্নয়ন কর্মকর্তারা প্রথম বর্ষ ও ডেফার্ড প্রিমিয়ামের ওপর প্রদেয় কমিশনের ১০ শতাংশ দ্বিতীয় বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম সংগৃহীত হওয়ার পর নবায়ন কমিশনের সাথে বিলম্বিত কমিশন (Initial Commission-IC) হিসেবে পাবেন।
অর্থাৎ প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহের সময় এখন থেকে তারা নির্ধারিত কমিশনের ৯০ শতাংশ পাবেন। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলোকে বিলম্বিত কমিশনের ওপর পূর্ববর্তী বছরের বাৎসরিক ৩ শতাংশ সুদ- এই দু’টির মধ্যে যেটি কম সে হারে মুনাফা প্রদান করে বিলম্বিত কমিশন বিল তৈরি করতে হবে।
কমিশনসহ অন্য যে কোনরকম ব্যয় যেমন- বোনাস, যাতায়াত, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি সংগৃহীত প্রিমিয়ামের সাথে সমন্বয় করা যাবে না। শুধুমাত্রা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে লাইসেন্সধারী এফএ এবং সকল উন্নয়ন কর্মকর্তাকে মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংসহ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে কমিশন পরিশোধ করতে হবে।
আইডিআরএ বলছে, তামাদি পলিসির উচ্চহার দেশের লাইফ বীমা শিল্পের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা। অধিকাংশ লাইফ বীমা কোম্পানিতে তামাদি পলিসির উচ্চ হারের কারণে বীমা শিল্প বছরে প্রচুর রিনিউয়াল প্রিমিয়াম আয় থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে পলিসি তামাদি হলে আইনী বাধ্যবাধকতার কারণে গ্রাহকদের জমাকৃত টাকাও ফেরত দেয়া যায় না।
আবার বিশেষ ক্ষেত্রে জমাকৃত প্রিমিয়ামের আংশিক ফেরত দেয়া গেলেও তা পরিমাণে অত্যন্ত কম। যার কারণে বীমা গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হয় না এবং এটা বীমা শিল্পের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরী করে। এছাড়া তামাদির উচ্চহার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে কোম্পানির আর্থিক সামর্থকে সংকুচিত করে। উচ্চ তামাদি হারের কারণে অনেক বীমা কোম্পানি শক্তিশালী আর্থিক ভিতের ওপর দাঁড়াতে পারছে না।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, পলিসি তামাদির জন্য বেশ কিছু কারণকে চিহ্নিত করা যায়। এরমধ্যে রিনিউয়াল প্রিমিয়াম অর্জনে এজেন্টদের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি এজেন্টদের টার্নওভারও ব্যাপকভাবে দায়ি। এ পরিস্থিতিতে এজেন্টদেরকে রিনিউয়াল প্রিমিয়াম আয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখা, পলিসি চালু রাখা, বীমা শিল্পের পেনিট্রেশন বৃদ্ধি এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখেতে এজেন্ট কমিশনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করছে।