মাহমুদউল্লাহ ৫৯ রানে এবং রুবেল ২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিউই পেসার ম্যাট হেনরির বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে সফররত বাংলাদেশ। ওপেনিং করতে নেমে মাত্র ১ করেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরের উইকেটে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকারও আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১ রানে। আর লিটন দাস ফেরেন ২১ রান করে। এই তিন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানকেই ফেরান ম্যাট হেনরি।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ক্রিজে খুঁটি গেড়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। কাইল জেমিসনের বলে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। আর মুশফিক ফেরেন ব্যক্তিগত ২১ রানে।
বাংলাদেশ দলের দুই উদীয়মান অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং শেখ মেহেদি হাসানও দলের জন্য কিছু করতে পারেননি। শূন্যরানেই নিশামের বলে ফেরেন মিরাজ। আর আউট হওয়ার পূর্বে মাত্র ৩ রান করেছেন শেখ মেহেদি। অষ্টম উইকেট জুটিতে তাসকিন নিয়ে দলীয় স্কোরে কিছু রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাসকিন আউট হয়েছেন ৯ রানে।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে এবং ড্যারেল মিচেলের অভিষেক সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে টম লাথাম বাহিনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রানেই থেমেছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যদের ইনিংস।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৪ রান তুলেন দুই কিউই ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। ব্যক্তিগত ১৮ রানে তাসকিনের বলে আউট হয়েছেন নিকোলস। ২৬ রানে রুবেলের বলে ফিরেছেন গাপটিল। আর দুই ম্যাচ পর মাঠে ফেরা রস টেইলর সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৭ রানে। অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৮ রান।
ব্যাট হাতে আজ(শুক্রবার) প্রথমে কেউই সুবিধা করতে না পারলেও পঞ্চম উইকেট পার্টনারশিপে ডেভন কনওয়ে এবং ড্যারেল মিচেলের গড়া ১৪৯ রানের জুটিতে রানের পাহাড় গড়তে থাকে স্বাগতিকরা। দুজনই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
১১০ বলে ১২৬ রানে কনওয়ে ফিরলেও মিচেল খেলে গেছেন শেষ পর্যন্ত। ৯২ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার।