শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এমপিওভুক্তির সংশোধিত নীতিমালায় এসব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, পদোন্নতির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক কলেজের প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির আট বছর পূর্তিতে মোট প্রভাষক পদের ৫০ শতাংশ মূল্যায়নের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতি পাবেন। ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি পাবেন তারা। জ্যেষ্ঠ প্রভাষকরা ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা স্কেলে ছয় গ্রেডে বেতন পাবেন। উচ্চমাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক বলে কোনো পদ থাকবে না বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর পূর্তিতে নবম গ্রেড থেকে অষ্টম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর চাকরি জীবনের ১৬ বছর পূর্তিতে তারা জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া তারা পুরো চাকরি জীবনে দুইটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না।
তবে ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকদের চাকরির আট বছর পূর্তিতে মোট প্রভাষক পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত সূচকে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর পূর্তিতে নবম গ্রেড থেকে অষ্টম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর চাকরি জীবনের ১৬ বছর পূর্তিতে তারা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া এই সহকারী অধ্যাপকরা সমগ্র চাকরি জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না।
প্রভাষকদের পদোন্নতিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে এমনিও প্রাপ্তির জ্যেষ্ঠতায় ১৫ নম্বর, পরীক্ষার ফলে ১৫ নম্বর, ক্লাসে উপস্থিতি ২০ নম্বর, নেতিবাচক রেকর্ডে না থাকলে ১০ নম্বর, বিভাগীয় মামলা না থাকলে ৫ নম্বর, সৃজনশীল দৃষ্টান্তে ১০ নম্বর, ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়ার দক্ষতায় ১০ নম্বর, এমফিল/পিএইচডিতে ৫ নম্বর, গবেষণা কর্ম ও স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থাকলে ১০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতি পাবেন প্রভাষকরা।