আজ মঙ্গলবার মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশনের একটি ভবনকে করোনা চিকিৎসার জন্য ১,২০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করার এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৩,৫০০ শয্যা বাড়ানো হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২,৫০০ শয্যা দ্বিগুণ করে ৫,০০০ করা হয়েছে। শিগগিরই আরো ১,২০০ শয্যা যোগ হবে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে ১,০০০ শয্যা আছে বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘রোগী যদি আজকে ১০ হাজার হয়ে যায়, ২০ হাজার হয়ে যায়, কোথায় নিবেন? কোথায় চিকিৎসা করবেন? ডাক্তার কোথা থেকে পাবো? বেড বাড়ালাম, নার্স কোথা থেকে পাবো? এটা তো সম্ভব নয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে লকডাউন মানতে চাচ্ছে না। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দোকানদাররা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, জনগণের মঙ্গলের জন্যই লকডাউন এবং ১৮-দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা যদি সংক্রমণ কমাতে চাই এবং মৃত্যু কমাতে চাই তাহলে লকডাউনের বিধিবিধান মানতে হবে।
ঢাকাসহ সারা দেশে ২,০০০ হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এটা ব্যবস্থা আইসিইউ'র মতো কাজ করে।