প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স ফিলিপের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত রাজপরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
রানি এলিজাবেথের ৬৯ বছরের শাসনামলে সবসময় সঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রাশভারী স্বভাব এবং বিচক্ষণতা তাকে অনন্য পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটি গভীর দুঃখজনক যে মহামান্য রানি তার ভালোবাসার স্বামী মাননীয় প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবারার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছেন। বলা হয়, ‘উইন্ডসর ক্যাসেলে আজ সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী ঘোষণা যথাযথ সময়ে জানানো হবে। তার মৃত্যুতে শোক জানাতে রাজপরিবার সারাবিশ্বের মানুষের সঙ্গে যোগ দেবে।’
১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রিক ও ড্যানিশ রাজপরিবারে জন্ম নেয়া প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাজতন্ত্রকে আধুনিকায়ন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাকিংহাম প্যালেসের দেয়ালের ভেতরে এলিজাবেথকে রানি হয়ে ওঠার পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রানির আস্থাও অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৯৭ সালে ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ, সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ফিলিপের প্রতি এক বিরল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি। রানি তখন বলেন, ‘তিনি বেশ সহজাতভাবে এতগুলো বছর ধরে আমার শক্তি হয়ে পাশে আছেন।’
প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘তিনি (ফিলিপ) অগণিত তরুণকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’
জনসন আরও বলেন, ‘তিনি রাজপরিবার ও রাজতন্ত্রকে চালিত করতে সহায়তা করেছিলেন যাতে এটি আমাদের জাতীয় জীবনের সুখ ও ভারসাম্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকে।’