সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি দোকানপাট, যানবাহন—সবই বন্ধ থাকতে পারে। শুল্ক-কর কার্যালয়গুলো খোলা থাকবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, বৈশাখ-রোজার বেচাকেনা—এসবের মধ্যেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই আদেশ চিন্তায় ফেলেছে ব্যবসায়ীদের।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে একটি নতুন আদেশ জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ভ্যাট আইনের মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালার বিধি ৪৭ অনুযায়ী, প্রতি কর মেয়াদের (প্রতি ইংরেজি মাস) বেচাকেনার বিপরীতে ভ্যাটের রিটার্ন পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমার বাধ্যবাধকতা আছে। অন্যথায় জরিমানা ও সুদ আরোপের বিধান আছে। তাই ভ্যাটদাতারা যাতে সহজেই রিটার্ন দিতে পারেন, সে জন্য সব ভ্যাট কার্যালয় খোলা থাকবে।
এনবিআরের আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি ভ্যাট কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাতে ভ্যাটদাতারা রিটার্ন জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া পুরো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কমিশনার নিজে তদারক করবেন। আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট রিটার্ন না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং নির্ধারিত ভ্যাটের টাকার ওপর ২ শতাংশ হারে সুদ আরোপ হয়।