শনিবার (১০ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমে এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত ভোট করতে না পারার চিঠি পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা পাঠিয়েছি। এ ক্ষেত্রে যেসব ইউপির মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, সেসব ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান, মেম্বাররা সর্বোচ্চ নব্বই দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার সচিবকে এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা পাঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।
এতে উল্লেখ করা হয়, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি হওয়ার কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে আগামী ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ১ম ধাপে ১৯টি জেলার ৬৪টি উপজেলার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন; সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এর শূন্য পদে উপনির্বাচন এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের ১১নং সাধারণ ওয়ার্ডের শূন্য সদস্য পদে নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
ফলে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৯(৩) অনুসারে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ আইন, ২০০৯ এর ২৯(৫) ধারা অনুযায়ী পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে বিষয়টি অবহিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।