এই ‘মুভমেন্ট পাস’ কাদের জন্য প্রযোজ্য আর কাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, তা জানানো হয়েছে পুলিশ সদরদফতর থেকে।
বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, তাদের চলাচলে মুভমেন্ট পাস প্রয়োজন নেই। শুধু পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা:
১. চিকিৎসক
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড-১৯ টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা ও
১৮. বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
লকডাউন বাস্তবায়নে স্থাপিত চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
মুভমেন্ট পাস করবেন যেভাবে:
movementpass.police.gov.bd লিংকে ঢুকে মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আবেদনকারী কোথা থেকে কোথায় যাবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। সেই সব তথ্য ধাপে ধাপে দিতে হবে। এরপর আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করে আবেদন জমা (সাবমিট) দিতে হবে।
ফিরতি বার্তায় আবেদনকারীকে পাস পাঠানো হবে। সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট নেয়া যাবে। প্রিন্ট কপিটিই মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হবে। একবার পাস নিলে তার সময়সীমা থাকবে তিন ঘণ্টা। অর্থাৎ, তারিখ ও সময় দেয়ার পর থেকে পরবর্তী তিন ঘণ্টা সময় গণনা শুরু হবে। এছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া ও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আসার জন্য লাগবে আলাদা মুভমেন্ট পাস।
যদিও ১৩ এপ্রিল সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মুভমেন্ট পাস অ্যাপস উদ্বোধন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘মুভমেন্ট পাস নিতেই হবে এমন না। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।’ তবে পাস ছাড়া কেউ বের হলে তিনি পুলিশের জেরার মুখে পড়বেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন আইজিপি।