বুধবার (১৪ এপ্রিল) লেনদেনের একপর্যায়ে সংস্থাটির শেয়ারের দর ৩৮১ ডলার পর্যন্ত ওঠে। পরে ৩৩০ ডলারে লেনদেন শেষ হয়। প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, কয়েনবেস তেল জায়ান্ট ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের মতো অনেক নামী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে গেছে।
কয়েনবেস হল একটি ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় সিস্টেম। বিশ্বব্যাপী ১০০টির বেশি দেশে বিটকয়েন, বিটকয়েন ক্যাশ, এথেরিয়াম, এথেরিয়াম ক্ল্যাসিক, লাইটকয়েন ব্রোকার এক্সচেঞ্জার এবং স্টোরেজ হিসেবে কাজ করে। ৫০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে কয়েনবেসের। গত মার্চের শেষ পর্যন্ত এর ব্যবহারকারীদের কাছে প্রায় ২২৩ বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল মুদ্রা ছিল। সংস্থাটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত।
গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করার পর কয়েনবেসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান আর্মস্ট্রং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির তালিকায় ঢুকে গেছেন। ৩৮ বছর বয়সী এয়ারবিএনবির সাবেক এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কয়েনবেসের প্রায় ২১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
আসলে বিনিয়োগকারীদের কাছে এখন ক্রিপ্টেকারেন্সির ব্যাপক চাহিদা। ২০২০ সালে ডিজিটাল মুদ্রার দাম বেড়েছে ৩০০ শতাংশ। আবার ২০২১ সালে টেসলা, মাস্টারকার্ড, ব্ল্যাকরকের মতো কোম্পানি এই মুদ্রায় বিনিয়োগ করায় এর দাম বেড়েই যাচ্ছে। তবে শুধু বিটকয়েন নয়, অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রার দামও বেশ বাড়ছে। বিটকয়েনের পর সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে ইথেরিয়াম। ২০২০ সালে এই মুদ্রার দাম বেড়েছে ৪৬৫ শতাংশ।
গত মঙ্গলবার বিটকয়েনের দাম বেড়ে ৬৩ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। এর আগে গত ১৩ মার্চ বিশ্বের বৃহত্তম এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য প্রথমবারের মতো ৬০ হাজার ডলার ছাড়ায়।