তিনি রাজধানীর সরকারি বাসভবন মিন্টো রোড থেকে চলমান কভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশের সব পৌরসভার মেয়রদের সঙ্গে দুই দফায় ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পৌরসভাগুলোতে নিয়মিত কর্মচারীর বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ না করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে বলে অনেক অভিযোগ আসে। অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগের ফলেই পৌরসভার কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বকেয়া থাকছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ বিষয়ে সব মেয়রকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
পৌর মেয়রদের আয় ও উৎপাদনমুখী এবং সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গৃহীত চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, লকডাউন যত বৃদ্ধি হবে দেশের অর্থনীতির ওপর তত চাপ বাড়বে। তাই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই ।
হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম কমানোর তাগিদ দিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা জায়গায় কাঁচাবাজার বসানোর পরামর্শ দিয়ে মো. তাজুল ইসলাম করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য বিভাগ ও দপ্তর থেকে যেসব পরিপত্র জারি হয়েছে, সেগুলো পরিপালনের নির্দেশও দেন মন্ত্রী ।
মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের সকল প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রেখে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের। যুবসমাজকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না, তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। জনপ্রতিনিধিরাই সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে পারেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাগরিকদের প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানবকল্যাণে অবদান রাখার চেয়ে বড় প্রাপ্তি মানুষের আর কিছু হতে পারে না। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ যোগ্যতা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ সময় যারা ধর্মের কথা বলে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে সব জনপ্রতিনিধিকে আহ্বান জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সব পৌরসভার মেয়ররা অংশ নেন।