বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নতুন ভ্রমণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহামারি করোনা ভ্রমণকারীদেরকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে। তাই অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে এই মুহূর্তে ভ্রমণ করা উচিত হবে না।
মার্কিন সরকার কর্তৃক বর্তমানে যেসব দেশে ‘ভ্রমণ করবেন না’ মর্মে নির্দেশনা জারি রয়েছে সেই সংখ্যাটা ৩৪। তবে নতুন করে আরও শতাধিক দেশকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ‘লেভেল ফোরে’ উন্নীত করা হবে; যা গড়ে বিশ্বের মোট দেশের আশি শতাংশেরও বেশি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বোচ্চ চার স্তরের সতর্কতা ‘ভ্রমণ করবেন না’ তালিকায় থাকা ৩৪ দেশের সঙ্গে আরও ১৩০টি দেশকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর তা হলে ৮০ শতাংশ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভ্রমণ করবেন না’ তালিকায় চলে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বর্তমান জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিবেচনা করে নয় বরং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আরও কিছু দেশকে এই তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) সম্প্রতি টিকার পুরো কোর্স শেষ না করা পর্যন্ত দেশের ভেতরেও নাগরিকদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে এবং সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, টিকা নেওয়ার পরও বিদেশ ভ্রমণ করলে তাতে ‘বাড়তি ঝুঁকি’ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনা বিশ্বের ত্রিশ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ছাড়াও সংক্রমণ ঘটিয়েছে কোটি কোটি মানুষের দেহে। বিশ্বজুড়ে ফের করোনার প্রকোপ শুরুর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ হারের দিকেই যাচ্ছে।