সেতু কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে জানিয়েছে, আগামী বর্ষা মৌসুম শেষেই সেতুর উপরে পিচ ঢালাই শুরু হবে। আর পদ্মায় বিলীনের পর নতুন করে আনা ১৯২টি স্ট্রিনজার চলতি মাসের শেষের দিকেই স্থাপন শুরু হবে।
পদ্মা সেতুতে সর্বাত্মক লকডাউনেও পুরোদমে চলছে কাজ। সেতুর উপরে রোডওয়ে নিচে রেলওয়ে স্ল্যাব বসছে সমান তালে। রেলওয়ে স্ল্যাবের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আর রোডওয়ে স্ল্যাবের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। রেলিংয়ের ৬শ ৬৫টি প্যারাপেট ওয়াল এবং রেলওয়ের স্ল্যাব শেয়ার পকেট বসে গেছে ৬শ ৪১টি। করোনার চ্যালেঞ্জেও কাজের অগ্রগতিতে খুশি সেতু কর্মীরা।
সেতু নির্মাণ ঘিরে পদ্মা শাসনে চীনা ঠিকাদারের সাথে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে। নদী শাসনে বিশ্বে এখনও কোথাও এত বড় অঙ্কের চুক্তি হয়নি। বিশ্ব রেকর্ডের এই চুক্তির কাজই এখন চলছে পুরোদমে।
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে নদী শাসন ঘিরে চলছে বিশাল এই কর্মযজ্ঞ। নদীতে ফেলা হচ্ছে লাখ লাখ বালুর বস্তা ও পাথর। নদীর তলদেশের মতো নদী তীরও বস্তা ফেলা হচ্ছে। এরপর তীর ব্লক দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। আগামী বর্ষায় পদ্মা জাজিরা দিকে পদ্মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে পারে এমন শঙ্কায় নদী শাসন কাজে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে এখন।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) মো. শারফুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমে বলেন, প্রমত্তা পদ্মা গতি পথ পাল্টেছে। মাওয়ার খরস্রোতা এলাকায় চর পড়ে গিয়ে পদ্মার মূল চ্যানেল ধাবিত হচ্ছে জাজিরার দিকে। প্রাকৃতিক কারণেই গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। তাই আসন্ন বর্ষায় পদ্মা ভাঙন শঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব চেষ্টা চলমান।
তিনি আরও বলেন, পদ্মায় বিলীন হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে লুক্সেমবার্গ থেকে আনা ১৯২টি স্ট্রিনজার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ঘষামাজা চলছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এগুলো স্থাপন শুরু হবে।
চীনের সিনো হাইড্রো কোম্পানি লিমিটেড পরিচালকের চেন কোয়াইন, পদ্মা জাজিরার দিকে ধাবিত হওয়ায় বর্ষা সামনে রেখে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজও পাল্লা দিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।