সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৪.১৯ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩.৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নীট মুনাফা বেড়েছে ২১.১৫ শতাংশ।
এসময়ে সোনালী পেপারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৯ পয়সা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮ পয়সা। এদিকে কোম্পানিটির সবশেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল৩২ পয়সা।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮১ টাকা ৭৩ পয়সা। যা গত ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩০৭ টাকা ৮৮ পয়সা।
গত বছরে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস, মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এরফলে দেশের পুঁজিবাজারে কোম্পানটি ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়। সোনালি পেপার ১৯৭৭ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ করে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।
আর পেপার ও প্রিন্টিং খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়।
ইউনুস গ্রুপ ২০০৬ সালে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে। সোনালি পেপার প্রিন্টিং পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ উৎপাদন করে। এর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১8 কোটি টাকা।