রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের শাস্তি তাদের ভোগ করতেই হবে। তারা যে ধরনের কাজ করেছে অবশ্যই তাদেরকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সেখানে তাদের রাজনীতি করার কোনো কথা নেই। তারপরও কেন তারা রাজনীতিতে আসে তা আমার জানা নেই। কেন তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেন, সেটাও আমার জানা নেই।
হেফাজতের নেতারা ছাড়াও ইসলামিক নেতারা এটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন। হেফাজতের যারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছেন, যাদের জন্য কতগুলো জীবন চলে গেছে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। তারা যে ধরনের কাজ করেছে, তার জন্য আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। সেই জায়গাতে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা বলছেন, তারা (হেফাজত) আসছেন, কথা বলেছেন। তারা আসতেই পারে, কথা বলতেই পারেন। সবাই কথা বলবে, কথা বলার রাইটস সবারই আছে। আমরা কথা বলছি কিন্তু কোনো সময় দুষ্কৃতকারীদের, বিশেষ করে যারা নাশকতা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা দেব না ইনশাআল্লাহ।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক নৃশংসতা দেখেছি। এসিল্যান্ড অফিস পুড়িয়ে দিতে দেখেছি। থানা ভাঙচুর, লুটপাট করতে দেখেছি। হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখেছি। পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ করতে দেখেছি। এর কারণ কী? একসময় জঙ্গি সন্ত্রাসে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাই একত্রিত হয়ে নতুন সাইনবোর্ডে হেফাজতকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা তাদেরকে শনাক্ত করছি, অবশ্যই তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবা দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অক্সিজেনের পাশাপাশি ফোন করা মাত্র সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেখেছি সরকারিভাবে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন খাবার দিয়েছে। পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সবার কাছে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে। অনাহারে কেউ মারা যায়নি। চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়েছে এমন কথা শোনা যায়নি। আমরা কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আবার কিন্তু করোনার ঢেউ আসছে। আমরা এটাও মোকাবিলা করব।
মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে বাইরে না বের হয় সেই অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতকাল ভারতে ছিল সাড়ে তিন লাখ আক্রান্ত। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, আমরা যদি মাস্কটা পরে থাকি, হাতটা স্যানিটাইজ করি তাহলে এই সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।