রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার সাধরের হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে এসব কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের বোরো ফসল ঘরে তোলা ঝুঁকিমুক্ত করতে সরকার প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে কৃষি যান্ত্রিকরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এজন্য কৃষকদের মধ্যে ৭০ পার্সেন্ট ভর্তুকি মূল্যে ধানকাটা ও মাড়াইয়ের মেশিন সরবরাহ করছে।
তিনি আরও বলেন, এমনকি খুব কম সময়ে পেকে কর্তন উপযোগী হয় এমন উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনেও কাজ করছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়া, কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ১৫ লাখ টন ধান ক্রয় করবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক প্রভাবের কারণে কৃষক যেন ধান দেয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেই বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হবে।
এক বছর যারা লটারি পাবে পরের বছর তাদের নাম লটারিতে দেয়া হবে না বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। পরে কৃষিমন্ত্রী কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করেন এবং হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা পরিদর্শন করেন।
মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রভাংশু সোম মহান সঞ্চালনায় ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪(ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান (গ্রেড ১) ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামারবাড়ী) উপ-পরিচালক মো. সাইফুল আলম, মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হকসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, খাদ্যে উদ্বৃত্ত কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য চলতি বছর সরকার ৭০ পার্সেন্ট ভর্তুকি মূল্যে এবং কিস্তিতে ১০০টি হারভেস্টার ও ৯০টি রিপারের বরাদ্দ দেয়। এরই মধ্যে ৮৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার কেনা হয়েছে। এর আগে, গত বছর ৪৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ২৩টি রিপার সরবরাহ করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলায় এ বছর এ জেলার ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।