সোমবার (২৬ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বীমা খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থে বীমাকারী ও বীমা পলিসি গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ডিজিটাল সুবিধা প্রদান, বীমাকারী কর্তৃক বীমা পলিসি গ্রাহকদেরকে প্রিমিয়াম রশিদ প্রেরণ (ডাক, কুরিয়ার ইত্যাদি) বাবদ খরচ সাশ্রয়, এ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি রোধ, বীমা পলিসি গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ বন্ধ, গ্রাহক হয়রানি রোধ এবং গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধিসহ সামগ্রিকভাবে বীমা খাতের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে এই বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
এই বাধ্যবাধকতা আরোপের ফলে, আগামী ১ জুন থেকে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রিমিয়াম রশিদ হিসেবে কাগজে ছাপা রশিদের পাশাপাশি ইউনিফাইড মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম (ইউএমপি)-এর মাধ্যমে প্রস্তুত করা ই-রিসিপ্ট (অরিজিনাল রিসিপ্টি বা ওআর, রিনিউয়াল রিসিপ্ট বা আরআর, মানি রিসিপ্ট বা এমআর) প্রদান করতে হবে।
নির্দেশনায় আর বলা হয়, আগামী ১ অক্টোবর থেকে বীমা পলিসি গ্রাহকদের নিকট হতে গৃহীত প্রিমিয়ামের বিপরীতে কাগজে ছাপা রশিদের পরিবর্তে ইউএমপি সিস্টেম হতে প্রস্তুত করা ই-রিসিপ্ট প্রদান করতে হবে।
তবে জীবন বীমাকারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে গৃহীত প্রিমিয়াম এবং বীমাকারীর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রবীমা প্রিমিয়াম রশিদ প্রদানে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রচলিত পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে।
তবে ১ অক্টোবর থেকে অরিজিনাল রিসিপ্টি বা ওআর, রিনিউয়াল রিসিপ্ট বা আরআর এবং মানি রিসিপ্ট বা এমআর-এর জন্য কাগজে ছাপা বা হাতে লেখা বা প্রিন্টেড প্রিমিয়াম রশিদ কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।