ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাশনাল ফিড চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৭৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটির লভ্যাংশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের ২০১৯ সালে ১ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
ন্যাশনাল ফিডের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর পরের সাতটি স্থানই রয়েছে বীমা কোম্পানির দখলে।
বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। গেল সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ২৬ দশমিক ১২ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া জেড গ্রুপের একমাত্র প্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিলের শেয়ার দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।