শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) লেখা ওই চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, ঘটনার দিন পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা এবং অজ্ঞাতসংখ্যক শ্রমিককে আহত করে। পুলিশের গুলিবর্ষণ, হত্যা এবং শ্রমিকদের ওপর সহিংসতা ফৌজদারি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের চেয়ে কম নয়। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা এবং এ ঘটনায় চীনা দূতাবাসের নীরবতার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে চিঠিতে। চারটি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এসব দাবি হলো হতাহত শ্রমিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা; শ্রমিকদের হত্যা, জখম ও হয়রানির ঘটনায় দায়ী চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের চীনের আইন অনুযায়ী বিচার করা; আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং এই প্রকল্পে জড়িত কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যৌথ উদ্যোগে চুক্তি প্রকাশ করা।
এর আগে ১৭ এপ্রিল বাঁশখালীর গন্ডামারায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ ১২ জন এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোজায় কর্মঘণ্টা কমানোসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছিলেন