নিহতদের মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার ও তিন জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দু’জন। শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চরমভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৬ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা একজন তীব্র মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই তিন মাসের মধ্যে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) জরিপে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চের এসব ঘটনার ভিত্তিতে তৈরি করা জরিপ প্রতিবেদন শনিবার (১ মে) গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে বিলস।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে মোট ১৩ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে যারা গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করেন, তাদের ৯৫ ভাগেরও বেশি নারী। বিলস-এর জরিপে দেখা গেছে যারা হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে।
বিলসের জরিপে বলা হয়েছে, দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তির ওপর নির্ভর করে এই জরিপটি করা হয়েছে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কারণ অনেক নির্যাতনের ঘটনায় অর্থ ও চাপের মুখে সমঝোতা করা হয়। গৃহকর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্য অর্থনৈতিকভাবে দুবর্ল হওয়ার কারণে মামলা-মোকদ্দামায় যেতে চান না বা যেতে সাহন পান না। প্রভাবশীলরা অনেক নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফেলেন।
বিলস সুনীতি প্রকল্প ও গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এসব ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া মনিটরিং সেলের মাধ্যমে ঘটনার সবশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ও সার্বিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।