শনিবার (১ মে) রাজধানীর মিরপুর-১২ বাসষ্ট্যান্ডে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি। পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাবেক মহাসচিব মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
করোনার ভ্যাকসিন ছাড়াও সংগঠনটি বাকি ৫টি দাবি হল— বাঁচার মত মজুরি পোশাক শ্রমিকদের নিশ্চিত করে, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে। সকল প্রকার হয়রানি, নির্যাতন মুক্ত নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। আইএলও কনভেনশন-১৯০’এ অবিলম্বে সরকারকে অনুস্বাক্ষর করতে হবে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাসে উন্নীত করতে হবে। এক দেশ দুই নীতি পরিহার করতে হবে (সরকারি কর্মজীবী মায়েরা ছয় মাস এবং বেসরকারি কর্মজীবী মায়েরা চার মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন)। এছাড়াও করোনাকালে কাজের বিপরীতে শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে। করোনা আক্রান্ত শ্রমিকের সুচিকিৎসা ও মৃত্যুজনিত সকল ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, নিম্নবিত্তের ঘরে জন্ম নেওয়াটা আজ পাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে যেখানে সরকার লকডাউন ঘোষণা করে, সেখানে পোশাক শ্রমিকরা কাজে যেতে বাধ্য হয়। সরকার মালিকদের নানামুখী চাপের কাছে বার বার নতি স্বীকার করেছে অথচ নিম্নআয়ের মানুষেরা কিভাবে জীবনযাপন করবে তার ব্যবস্থা করতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
পোশাক শিল্পের সকল শ্রমিককে ২৫ রমজানের মধ্যে ঈদ বোনাসসহ মজুরি ও ওভারটাইম পরিশোধের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, করোনা ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাজি রেখে পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে উৎপাদনের চাকা অব্যাহত রেখেছেন। তাদের দেনা-পাওনা পরিশোধে কোনো প্রকার তালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক লতিফা আক্তার, শাহীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী (ওহিদুল), শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা আক্তার সুমি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফৌজিয়া বেগম তানিয়া, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সহ- প্রচার সম্পাদক মো. দুলাল।