আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় এটা দ্বিতীয় জয়। এর আগে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২২৪ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়েলস।
শনিবার (১ মে) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে আম্বাতি রাইডু, মঈন আলী ও ফাফ ডু প্লেসিসের ব্যাটিং তাণ্ডবে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২১৮ রানের পাহাড় গড়ে চেন্নাই।
এক উইকেটে ১১২ রান করা চেন্নাই এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৮ রান করেন চেন্নাইয়ের ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। ২৮ বলে দুই চার ও চারটি ছক্কায় ৫০ রান করে ফেরেন ডু প্লেসিস। ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ রানে ফেরেন সুরেশ রায়না।
ইনিংসের শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২০ বলে ফিফটি তুলে নেয়া আম্বাতি রাইডু ২৭ বলে চারটি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কায় অপরাজিত ৭২ রান করেন।
২১৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে মুম্বাই। ৭.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান করেন কুইন্টন ডি কক ও রোহিত শর্মা। এরপর মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে নেই তিন উইকেট। ২৪ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মাত্র ৩ রানে আউট সুরাইয়া কুমার যাদব। ২৮ বলে ৩৮ রানে ফেরেন অন্য ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
চতুর্থ উইকেটে করুনাল পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়েন কায়রন পোলার্ড। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন পোলার্ড। দলীয় ১৭০ রানে ২৩ বলে ৩২ রান করে ফেরেন করুনাল।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ১৫ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন পোলার্ড। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৮ বলে প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। খেলার এমন অবস্থায় ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন পান্ডিয়া। ঠিক এক রানের ব্যবধানে ফেরেন জেমস নিশাম।
এরপর একাই লড়াই করে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দেন পোলার্ড। দলের জয়ে ৩৪ বলে ছয়টি চার ও দৃষ্টিনন্দন ৮টি ছক্কায় অপরাজিত ৮৭ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন মুম্বাইয়ের এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব।